রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত রাজারবাগ দরবার শরীফ দেশে-বিদেশে বহুল পরিচিত একটি দরবার শরীফ। সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এ দরবার শরীফ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক যামানার যিনি লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, আওলাদে রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী উনার মাধ্যমে হিদায়েত লাভে ধন্য হয়ে আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি হাছিল করেছেন ও করছেন। কারন উনার বেমেছাল রুহানীয়ত, সুন্নতের সুক্ষাতিসুক্ষ অনুসরন, কঠোর শরীয়তী পর্দা পালন, ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান ইত্যাদি জাহেরী ও বাতেনী আমলে অনুপ্রাণিত হয়ে দলে দলে লোকজন উনার কাছে আসছে ।
এছাড়াও উনি উনার সুপ্রতিষ্ঠিত ও বহুল পরিচিত পত্রিকা মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসান-এর মাধ্যমে প্রায় দুই যুগ ধরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং ধর্মব্যবসায়ী জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও স্বাধীনতা বিরুধী, রাজাকারদের বিরুদ্ধে দলীল ভিত্তিক ক্ষুরধার লিখনী চালিয়ে যাচ্ছেন এবং প্রকাশ্যে বাহাসের চ্যালেঞ্জ দিয়ে যাচ্ছেন। এতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোকজনসহ ধর্মপ্রাণ সাধারণ লোকজন অনুপ্রাণিত হচ্ছেন ও দলে দলে উনার কাছে আসছেন। এছাড়া ওয়েব সাইটের মাধ্যমে দৈনিক আল ইহসান পৃথিবীর ২১৬টি দেশ থেকে পঠিত হয়ে থাকে। এতেও দেশ-বিদেশ থেকে দলে দলে লোকজন উনার কাছে আসছেন।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এসব দেখে হিংসা ও লোভের বর্শবর্তী হয়ে উনারই সহোদর ভাই আনিসুর রহমান, হাফিজুর রহমান এবং জিল্লুর রহমান উনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে এবং উনার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে উনাকে উচ্ছেদ করে সম্পত্তি আত্মসাতের বিভিন্ন ধরনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে ।
নিম্নে এদের কিছু অপকর্ম তুলে ধরা হলো-
* ১৯৪৮ সালে হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার পিতা মরহুম সাইয়্যিদ মুহম্মদ মোখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহ আলাইহি , উনার মাতার নামে ৫ আউটার সার্কুলার রোডস্থ হোল্ডিংয়ে ৪ বিঘা ১৪ আনা ৪ ছটাক জমি খরিদ করেন।
* পরবর্তীতে সুখে শান্তিতে বসবাসরত অবস্থায় ১৯৮০ সালে ১.০৩ একর সম্পত্তিতে উনার মাতা নিজ নামে কিয়দাংশ রেখে অবশিষ্ট সম্পত্তি উনাদের ৫ পুত্র এবং ৪ কন্যার নামসহ উনাদের পিতার নামে দানপত্র করে নামজারী করে দেন। কিন্তু ১৯৯০ সালে হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা উনার মেঝ ভাই মোঃ হাফিজুর রহমান বিদেশ থেকে এসে পারিবারিক সকল সম্পত্তি উন্নয়নের জন্য উনি হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলাসহ মোট ৫ ভাই এবং ৪ বোনকে নিয়ে ১৯৯১ সালে জেড আর এস্টেট প্রাঃ লিঃ কোম্পানী গঠন করেন (সংযুক্তি-১)।
* উক্ত কোম্পানীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক উনাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ৫ আউটার সার্কুলার রোডস্থ ৫ কাঠা জমির উপর বহুতল ভবন নির্মানের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৮ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে উক্ত ভবনের ৩য় তলা পযর্ন্ত নির্মিত হয়। এবং মৌখিকভাবে সিদ্ধান্ত হয় যে ৪র্থ ও ৫ম তলা পীর ছাহেব নিজ অর্থয়ানে নির্মান করবেন। এতে কারও কোন আপত্তি থাকবে না। এই উদ্দেশ্যে পুরো সম্পত্তি সকলে কোম্পানীর নামে দান করেন।
* কিন্তু পরবর্তীতে হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী, রাজারবাগ দরবার শরীফ এর অবস্থানে তিনি পৈত্রিক সম্পত্তিতে মালিক ও ভোগ দখলকার থেকে নিজ অবস্থানকে সুস্পষ্ট করতে গিয়ে তাহার তিন ভাই (ক) আনিসুর রহমান (খ) হাফিজুর রহমান (গ) জিল্লুর রহমানদের ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত হন। তারা, ৫ ভাই ও ৪ বোনের সম্পত্তি স্বৈরাচারিভাবে হিসাব নিকাশের স্বচ্ছতা ছাড়া ভোগ করে যাচ্ছেন। জেড আর টাওয়ারের মার্কেটের ভাড়া, পার্টি হাউস নামক কমিউনিটি সেণ্টারের ভাড়াসহ সবকিছুই তারা এককভাবে ভোগ করার মাধ্যমে উনাকে পৈতিৃক সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র করে আসছে।
* এ লক্ষে উক্ত কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান ( পীর ছাহেবের মেঝ ভাই) লোভের বর্শবর্তী হয়ে সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাতের লক্ষ্যে জাল দানপত্র করে (সংযুক্তি-২) নিজের নামে সমস্ত পাওয়ার নিয়ে নেন। এমনকি সমস্ত সম্পত্তি নাম খারিজ করে নিজের নামে পর্চাও তৈরি করেন (সংযুক্তি-৩)। যা ধরা পড়ার পর বাতিলের জন্য হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা উনার নিযুক্ত আম মোক্তার ৫ম যুগ্ম জেলা জজ এর আদালত ঢাকাতে একটি মামলা করেন। মামলা নং-২৫১/১০
(সংযুক্তি-৪)।
* হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনাকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা হয়। যা বিচারাধীন রয়েছে। মামলা নং-১৫১/০৯
(সংযুক্তি-৫)।
* উক্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে (সংযুক্তি-৬) প্রমানিত হয় যে, হযরত পীর ছাহেব মৌখিক নির্দেশে ৪র্থ তলা এবং ৫ তলা নির্মান করবেন। এবং তাদের বিরোধীতার মূল কারন সম্পত্তি।
* উক্ত কোম্পানীর চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান কোম্পানীর নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিচালকদের সাথে আলোচনা না করে সমস্ত সম্পত্তি আত্ত্বসাতের লক্ষ্যে জেড আর এস্টেটের নির্মিতব্য ১৬তলা ভবনটি হাইলাইটস ডেভোলপার কোং এর চেয়ারম্যান জামাত সমর্থিত এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম খান, এর সাথে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে চুক্তি করে ব্রুসিয়ার তৈরির মাধ্যমে সম্পূর্ণ বাড়িতে অবৈধভাবে বিক্রয়ের চেষ্টা চালায় (সংযুক্তি-৭) ছাপিয়ে তা বিক্রির পায়তারা শুরু করে। অথচ উক্ত ভবনের ৪র্থ তলায় হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার অবস্থানস্থল ও উনার নির্মিত মসজিদ রয়েছে। এবং তৃতীয় তলায় সকলের ছোট ভাই সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফীজুর রহমানসহ উক্ত সম্পত্তির মূল মালিক সকলের মাতা নব্বই ঊর্ধ্ব বৃদ্ধ সাইয়্যিদা জাহানারা বেগম খাতুন মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া।
* উক্ত হাফিজুর রহমানগং রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার সাইন/সহি জালিয়াতি করে সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখা থেকে ১৯৯৪ সালে জেড আর এস্টেটের নামে ২.১৫ কোটি টাকা লোন উত্তোলন করে। উক্ত ঋনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় অর্থঋন আদালতে একটি মামলা হয়। মামলা নং- ৪৮৩/২০০৪ (সংযুক্তি-৮)।
* উক্ত মামলায় পীর ছাহেবের সই/স্বাক্ষর নকল করে পীর ছাহেবের নামে তারা মিথ্যা জবাব আদালতে প্রদান করে (সংযুক্তি-৯)। পরে ২০০৯ সালে পীর ছাহেব জানতে পারলে উনার পক্ষ হতে সোনালী ব্যাংক থেকে কোন টাকা ঋন নেননি মর্মে আদালতকে অবহিত করেন (সংযুক্তি-১০)। আদালত এ্যাডভোকেট কমিশন প্রেরন করে উনার নমুনা স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন (সংযুক্তি-১১)। এমনি আদালত স্বাক্ষর যাচাইয়ের জন্য সি, আই, ডি এক্সপার্টের কাছের প্রেরন করেন (আদেশের কপি, সংযুক্তি-১২)। উক্ত নকল সইয়ের কপি সংযুক্ত ( সংযুক্তি-১৩)।
* হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার পক্ষ থেকে উক্ত জাল জালিয়াতি সম্পর্কে সোনালী ব্যাংকের এমডিকে অবহিত করে একটি চিঠি প্রদান করা হয় (সংযুক্তি-১৪)
* তাদের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এবং হযরত পীর ক্বিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী উনাকে সব ধরনের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার ল্েক্ষ্য তারা উনাদের গ্রামের বাড়ি নূরানীগঞ্জের আড়াই হাজার থানাধীন প্রভাকরদী শরীফ-এর সংলগ্ন চরশিলামদী মৌজায় উনাদের পারিবারিক আরেকটি কোম্পানী এম আর পোলট্রি এন্ড এগ্রোফিসারিজ লিঃ এর ৪১.৯৪ (প্রায়) বিঘা জমি উনার সই স্বাক্ষর জাল করে উনার অনুমতি ছাড়াই আনিসুর রহমান, হাফিজুর রহমান, জিল্লুর রহমানগং ‘জামান এগ্রো ফিশারিজ’ এর নিকট বিক্রি করে দেয়।
উক্ত জমি আড়াই হাজার সাব রেজিস্ট্রিও অফিসে ২৬/০২/০৯ ইং তারিখে ১৩৪৮ নং দলীলের মাধ্যমে ১৩.১৭ বিঘা (প্রায়), ১৭/০৩/০৯ ইং তারিখে ১৭৮৭ নং দলীলের মাধ্যমে ৯.৮২ বিঘা (প্রায়), ০২/০৪/০৯ ইং তারিখে ২২৭১ নং দলীলের মাধ্যমে ১৮.৮৫ বিঘা (প্রায়) মোট ৪১.৯৪ বিঘা জমি বিক্রি করেছে।
বিক্রিত জমির দলীলে প্রদর্শিত মূল্য অনুযায়ী এক কোটি আটত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার (যদিও প্রকৃতপক্ষে তারা দুই কোটি টাকা মূল্যে বিক্রি করেছে। যা দলীলে প্রদর্শন করা হয়নি) হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার প্রাপ্য (যাতে মোট ২৫০টি শেয়ারের মধ্যে হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা ৫০টি শেয়ারের মালিক) ২০% অর্থ (কোম্পানীর মেমোরান্ডাম অব এসোসিয়েশন অনুযায়ী) উনাকে না দিয়ে হাফিজুর রহমানগং আত্মসাত করেছে।
* তাদের অব্যাহত চক্রান্তের অংশ হিসেবে এক পর্যায়ে হাফিজুর রহমান হারুন জেড আর এস্টেটের একক মালিক হিসেবে ৩৭ কাঠা সম্পত্তির মধ্যে ১২ কাঠা সম্পত্তি সনি প্রপার্টিজ নামক ডেভেলপর এর নিকট হস্তান্তরের চুক্তি করেন। অত:পর উক্ত সনি প্রপার্টিজ জাল নকশা তৈরি করে রাজউকের অনুমোদন না নিয়ে নির্মান কাজ শুরু করে ও এমতাবস্থায় ফ্লাট বিক্রি করে নিরীহ গ্রাহকদের প্রতারিত করে। পরবর্তীতে বিষয়টি অবহিত হলে রাজউক বিল্ডিংটি ভাঙ্গা শুরু করে। (সংযুক্তি-১৫) বর্তমানে রাজউক বিল্ডিংটির নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছে। অচিরেই তারা সম্পূর্ণ বিল্ডিং ভেঙে ফেলবে। (স্বারক নং- রাজউক/নঅশা/অঅ৪হসি-৩৩৮/২০০৯/৮১৫/তারিখ-১৫/১০/০৯) (সংযুক্তি-১৬)।
* এছাড়া তারা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে জনাব পীর সাহেবকে বিজ্ঞ আদালতে নেয়ার চেষ্টার মাধ্যমে বার বার উনাকে বিরক্ত করে যাচ্ছে। অথচ আদালতে সেগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। যেমন জিআর মামলা নং-৫৪/০৮, পিটিশন মামলা নং-১০৯/০৯ (সংযুক্তি-১৭)।
* নীলগিরি নামে তাদের মিনারেল ওয়াটার কোম্পানী, জালিয়াতি করে সাধারণ পানিকে মিনারেল ওয়াটার নামে বাজারে চালানোর অপরাধে গত ২১/০৭/১০ইং তারিখে র্যাব তাদের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে। যা পরেরদিন দৈনিক প্রথম আলোসহ অন্যান্য জাতীয় পত্রিকায় এসেছে। (দৈনিক প্রথম আলো-২২/০৭/১০ ইং) (সংযুক্তি-১৮)।
* সর্বপরি হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা উনাকে আপোষের প্রস্তাব করলে তিনি সেটাতে সম্মতি প্রকাশ করেন। যার ফলশ্রুতিতে ওসি মতিঝিলের সভাপতিত্বে উক্ত আপোষনামার সভা অনুষ্ঠিত হয় (আপোষ নামা, সংযুক্তি-১৯)। কিন্তু উক্ত আপোষেও তারা হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী উনাকে, উনার ন্যায্য হিস্যা দিতে রাজি হয়নি।
* এছাড়া অন্যান্য সমস্ত বিষয় অবহিত করে বার বার তাদেরকে লীগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তার কোন সদুত্তর তারা দেয়নি ( সংযুক্তি-২০)।
* হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা এবং উনার অনুসারীদের বিরুদ্ধে হাফিজুর রহমান গং একটি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। যার প্রেক্ষিতে হযরত পীর ছাহেব উনার অনুমতিক্রমে আম মোক্তার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত, ঢাকা একটি মানহানীর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৪১৭১/১০ (সংযুক্তি-২১)। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
* এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে হাফিজুর রহমান, আনিসুর রহমান, জিল্লুর রহমানগং রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সব ধরনের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এলক্ষ্যে তারা চরম মানহানীকর বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, লিফলেট ছাপিয়ে বিভিন্ন এলাকায় লাগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় মিথ্যা তথ্যযুক্ত নিউজ ছাপাচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা টাকা পয়সা দিয়ে কিছু হলুদ সাংবাদিকদের হাত করেছে।
* আমাদেরকে তথাকথিত জঙ্গি আখ্যায়িত করার জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। বিভিন্ন পত্রিকায় কল্পিত, বানোয়াট সংবাদ ছাপাচ্ছে, প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত চিঠি দিয়ে আমাদেরকে হয়রানীর চেষ্টা করছে। দালাল নিয়োগ করে তাদেরকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিচ্ছে। অথচ খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের রিপোর্টেই আল বাইয়্যিনাত-এর স্বচ্ছতা সম্পর্কে প্রত্যয়ন পত্র দেয়া হয়েছে (কপি সংযুক্ত-২২)।
* লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে তারা একের পর এক অবিশ্বাস্য, মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। (কপি সংযুক্ত-২৩)
* এরা নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী পোষছে। এদের দিয়ে ঢাকায় ও ঢাকার বাহিরে রাজারবাগ শরীফ-এর অনুসারীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। গত ৯/৪/২০১১ তারিখে এদের জঙ্গি-সন্ত্রাসী বাহিনী খোদ রাজারবাগ দরবার শরীফ-এ হামলা চালিয়েছে। যার প্রেক্ষিতে মতিঝিল থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। মামলা নং ২০(০৪)১১। মামলাটির প/ং হওয়ার পর বর্তমানে বিচারাধীন আছে। (কপি সংযুক্ত-২৪)।
উপরোক্ত ঘটনাবলী ছাড়াও আরো অনেক বিষয়ে তারা একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। যাতে হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দাজিল্লুহুল আলী উনাকে, উনার প্রাপ্য সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা যায়। এবং উনি যাতে রাজারবাগ শরীফ থেকে চলে যান। সুতরাং তাদের এসব ষড়যন্ত্র বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।
তাদের হীন কার্যকলাপের আরেকটি নমুনা হচ্ছে, তারা হযরত পীর ছাহেবের সম্মান হানীর জন্য অযৌক্তিক ভাবে মিথ্য অপবাদ দিয়ে একটি প্রেস কনফারেন্স করে (সংযুক্তি)। পরে তা জানতে পেরে হযরত পীর ছাহেব একটি মানহানীর মামলা দায়ের করেন।মামলা নং-৪১৭১/০৯ (সংযুক্তি)।
তাদের এহেন হীন কর্মকান্ডের কিছু বিবরন নি¤েœ উল্লেখ করা হলঃ-
(১) রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনাকে পৈত্রিক সম্পত্তি হতে উচ্ছেদের লক্ষ্যে উক্ত হাফিজুর রহমান গং হাইলাইটস ডেভেলপার নামক কোম্পানির এক বিশাল সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ব্রুসিয়ার ছাপিয়ে অবৈধভাবে রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার ভোগ দখলীয় সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করছে।
(২) উক্ত হাফিজুর রহমানগং রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার সাইন/সহি জালিয়াতি করে সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখা থেকে ১৯৯৪ সালে জেড আর এস্টেটের নামে কোটি কোটি টাকা লোন উত্তোলন করে। যার মামলা নং- ৪৮৩/২০০৪।
(৩) তারা দানপত্র দলীল জাল-জালিয়াতি করে জাল দলিল তৈরি করে সম্পূর্ণ সম্পত্তি নিজ নামে লিখে নেয় এবং নিজ নামে নাম জারি করে। (যা বাতিলের জন্য মামলা নং- ২৫১/০৯)
(৪) উক্ত আনিসুর রহমান, হাফিজুর রহমান, জিল্লুর রহমান গং জঙ্গি-জামাত চক্রের যোগসাজসে তাদের দ্বারা আর্থিক লাভবান হয়ে এবং আরো অধিক লাভবান হওয়ার আশায় আমাদের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের লক্ষে সম্পূর্ণ সম্পত্তি বিক্রয়ের গোপন চুক্তি করে। (ঢাকা-এর আদালতে ১৫১/২০০৯ মামলা)
(৫) হাফিজুর রহমান জেড আর এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির পক্ষ হতে সনি প্রপার্টিজের সাথে চুক্তি করে নিজেকে একক মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে চুক্তিপত্র করেছে। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা নং ১১০/০৯, ১২৫/১০ করলে আদালত স্থিতাবস্থা নির্দেশ দেন।
(৬) হাফিজুর রহমান হারুন গং সনি প্রপার্টিজের জাল নকশা তৈরি করে নিরীহ গ্রাহকদের প্রতারিত করে। পরবর্তীতে বিষয়টি অবহিত হলে রাজউক বিল্ডিংটির কিছু অংশ ভেঙে দেয়। বর্তমানে রাজউক বিল্ডিংটির নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছে। অচিরেই তারা সম্পূর্ণ বিল্ডিং ভেঙে ফেলবে। (স্বারক নং- রাজউক/নঅশা/অঅ৪হসি-৩৩৮/২০০৯/৮১৫/তারিখ-১৫/১০/০৯)
(৭) আমাদের সম্মানিত শায়খ ও মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনাদের গ্রামের বাড়ি নূরানীগঞ্জের আড়াই হাজার থানাধীন প্রভাকরদী শরীফ-এর সংলগ্ন চরশিলামদী মৌজায় উনাদের পারিবারিক কোম্পানী এম আর পোলট্রি এন্ড এগ্রোফিসারিজ লিঃ ৪১.৯৪ (প্রায়) বিঘা জমি উনার সই স্বাক্ষর জাল করে উনার অনুমতি ছাড়াই আনিসুর রহমান, হাফিজুর রহমান, জিল্লুর রহমান গং আড়াই হাজার সাব রেজিস্ট্রিও অফিসে ২৬/০২/০৯ ইং তারিখে ১৩৪৮ নং দলীলের মাধ্যমে ১৩.১৭ বিঘা (প্রায়), ১৭/০৩/০৯ ইং তারিখে ১৭৮৭ নং দলীলের মাধ্যমে ৯.৮২ বিঘা (প্রায়), ০২/০৪/০৯ ইং তারিখে ২২৭১ নং দলীলের মাধ্যমে ১৮.৮৫ বিঘা (প্রায়) মোট ৪১.৯৪ বিঘা জমি ‘জামান এগ্রো ফিশারিজ’ এর নিকট বিক্রি করেছে। বিক্রিত জমির দলীলে প্রদর্শিত মূল্য অনুযায়ী এক কোটি আটত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার (যদিও প্রকৃতপক্ষে তারা দুই কোটি টাকা মূল্যে বিক্রি করেছে। যা দলীলে প্রদর্শন করা হয়নি) ২০% অর্থ (কোম্পানীর মেমোরান্ডাম অব এসোসিয়েশন অনুযায়ী) উনাকে না দিয়ে হাফিজুর রহমানগং আত্মসাত করেছে।
(৮) শুধু তাই নয়, উক্ত আনিসুর রহমান, হাফিজুর রহমান, জিল্লুর রহমান গং আমাদের মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সই জাল করে মিথ্যা আপোস বণ্টন দলীল নং ৭৪২৫/০৮ তৈরি করেছে।
(৯) আমাদের সম্মানিত শায়খ ও মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি জেড. আর. এস্টেট (প্রাঃ) লিমিটেডের একজন পরিচালক ও শেয়ার হোল্ডার হিসেবে জেড. আর টাওয়ারে অবস্থিত মার্কেট এবং জেড. আর. এস্টেট প্রাঃ লিমিটেডের সম্পত্তি সকল ব্যবসার লাভ/লোকসানের হিসাব পাওয়ার হক্বদার হলেও উক্ত আনিসুর রহমান, হাফিজুর রহমান, জিল্লুর রহমান গং অদ্যাবধি কোন লভ্যাংশ কিংবা হিসাব দেয়নি। তাদের এ ব্যাপারে গত ২৪/০৩/২০১০ তারিখে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়।
(১০) সাধারণ পানিকে মিনারেল ওয়াটার নামে বাজারে চালানোর অপরাধে গত ২১/০৭/১০ইং তারিখে র্যাব তাদের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে। যা পরেরদিনের দৈনিক প্রথম আলোসহ অন্যান্য জাতীয় পত্রিকায় এসেছে। (দৈনিক প্রথম আলো-২২/০৭/১০ ইং)
(১১) এছাড়া তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে জনাব পীর সাহেবকে বিজ্ঞ আদালতে নেয়ার চেষ্টার মাধ্যমে উনাকে বিরক্ত করে যাচ্ছে। অথচ আদালতে সেগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। যেমন জিআর মামলা নং-৫৪/০৮, পিটিশন মামলা নং-১০৯/০৯ ।