কাদেরকে কুরবানীর পশুর চামড়া দেওয়া
যাবেনা ?
১) যাদের ঈমান-আক্বিদা নষ্ট তাদের যাকাত
দিলে আদায় হবেনা।
যেমন – কাদিয়ানী,বাতিল ৭২ ফিরকা । যে
সম্পর্কে পবিত্র হাদীস শরীফ উনার
মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে “ শীঘ্রই
আমার উম্মত ৭৩ ভাগ হবে। যার ৭২ ভাগ
জাহান্নামী, ১ ভাগ নাযাত প্রাপ্ত দল অর্থাৎ
জান্নাতী।“ নাযাত প্রাপ্ত দলই আহলে সুন্নত
ওয়াল জামায়াত বাকি ৭২ ভাগই বাতিল ফিরকা।
কাদিয়ানীদের আমল আখলাক ,চেহারা –সুরত
অন্যান্য মুসলমান উনাদের মতই । এমনকি
তাদের অনেক আমল অনেক সাধারন মুসলমান
হতেও বেশি । কিন্তু এরা কাট্রা কাফির । কারন
কাদিয়ানীরা সব মানলেও পবিত্র কুরআন
শরীফ উনার একটি মাত্র শব্দ “খতমে
নবুওয়্যত” অর্থাৎ নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
শেষ নবী ও রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম না মেনে কাদিয়ানীরা অপব্যাখ্যা করে
যে নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে
আরো নবী আসবে (নাউযুবিল্লাহ)। যার
কারনে কাদিয়ানীর ফিরকার অনুসারীরা কাট্রা
কাফির মির্জা গোলাম কাদিয়ানীকে নবী
মানে(নাউযুবিল্লাহ)।তার মানে কাদিয়ানীরা
সম্মানিত ইসলাম হতে খারিজ ও কাট্রা কাফির ।
এদের পশুর চামড়া দিলে আদায় হবেনা।
২) কওমী-দেওবন্দী,হেক্বারতে ইসলাম
সিলসিলাভুক্ত যারা রয়েছে তারা নুরে মুজাসসাম
হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে নিজের মত মানুষ মনে
করে,মাটির তৈরি মনে করে, তিনি নুর
মুবারকের তৈরি স্বীকার করেনা, হাযির নাযির
মানেনা, ইলমে গইব জানেন মানেনা, হায়াতুন
নবি মানেনা,মিলাদ শরীফ মানেনা, পবিত্র
সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদে
মিলাদুননবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
মানেনা তাদের পশুর চামড়া দিলে আদায় হবেনা
।
এই কওমী-দেওবন্দী,হেক্বারতে ইসলাম
তারা তাদের বইয়ের নাম দিয়েছে ‘হিফযুল
ঈমান’ অর্থাৎ ঈমান হিফাযতকারী কিন্তু এই
বইতেই তারা নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক
ছল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইলমে গইব
সম্পর্কে লিখেছে যে উনার ইলমে গইব
হল” বাচপান,হাইওয়ান,মজনু অর্থাৎ শিশু ,পশু ও
পাগলের মত (নাউযুবিল্লাহ) এবং এই লিখা তারা
জেনেশুনে লিখেছে ও প্রকাশ
করেছে। এই বই তারা আজো পড়িয়ে
থাকে! নাউযুবিল্লাহ অনন্তকালের লানত
এদের উপর । এখন একজন সন্তান এর পিতা
যত অশিক্ষিত, মুর্খ আর অজ্ঞই হোক সে
সন্তান কি কখনো বলবে যে আমার বাবার
জ্ঞান পাগলের মত ? শিশুর মত? পশুর মত ?
তাহলে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল
মুরসালীন,খতামুন নাবিয়্যিন নুরে মুজাসসাম
হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম
উনার শান -মান সম্পর্কে কি করে তারা এমন
কথা বলতে পারে? এদের অন্তরে নুরে
মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষ আছে বলেই
সব জেনেও তারাও লিখেছে ।একমাত্র
কাট্রা কাফিরের পক্ষেই এমন কথা বলা সম্ভব ।
৩) বাতিল ফিরকার(গাট্রিওয়ালা তাবলীগ)
লোকেরা বলে থাকে হযরত আদম
আলাইহিস সালাম ভুল করেছেন
(নাউযুবিল্লাহ),হযরত নুহ ও হযরত যাকারিয়া
আলাইহিমাস সালাম উনারা দাওয়াতের কাজ না করায়
গযবে পতিত হয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ),সমস্ত
নবী রসুল আলাইহিমুস ভুল করেছেন
একমাত্র নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ভুল করেননি
(নাউযুবিল্লাহ)। এখন প্রশ্ন হল হযরত নবী-
রসুল আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিকট মহান
আল্লাহ পাক স্বয়ং ওহী প্রেরন করতেন।
উনারা ওহী ব্যতিত কোন কাজ করেননি ।
তাহলে উনারা ভুল করেছেন এই কথা কাকে
ভুল প্রমানিত করেন ?(নাউযুবিল্লাহ)। এই কথা
চিন্তা করাও কুফরী । তাহলে যারা এই আক্বিদা
পোষন করে তাদের চামড়া দিলে আদায়
হবে কি ? কস্মিনকালেও আদায় হবেনা।
৪) আর এক বাতিল ফিরকার(মউদুদী জামায়াত)
লোকেরা বলে থাকে যে হযরত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন সত্যের
মাপকাঠি নন (নাউযুবিল্লাহ), উনারা সম্পদের জন্য
হানাহানি করেছেন (নাউযুবিল্লাহ)।অথচ মহান
আল্লাহ পাক পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার
মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন” মহান আল্লাহ
পাক উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট,উনারাও মহান আল্লাহ
পাক উনার উপর সন্তুষ্ট” । নুরে মুজাসসাম
হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন “ আমার
প্রত্যেক ছাহাবী আকাশের তারকার
ন্যায়,যে কেউ যে কোন বিষয়ে
উনাদের অনুসরন করবে সে অবশ্যই
হিদায়েতপ্রাপ্ত হবে” । যেখানে স্বয়ং মহান
আল্লাহ পাক ও নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন
উনাদের বিষয়ে সত্যায়িত করেছেন
সেখানে যারা উনাদের সম্পর্কে বদ আক্বিদা
পোষন করে তাদের ঈমান থাকবে কি ?এরাই
আবার হারাম তন্ত্র-মন্ত্র করে, বেপর্দা
হয়,হরতাল করে,ইসলামের নামে সুদ খায়।
এদের যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে কি ?
কস্মিনকালেও আদায় হবেনা ।
৫)কোয়ান্টাম মেথডঃ
বর্তমান সমাজে কোয়ান্টাম আর এক কুফরী
মতবাদ। কেউ কোথাও দেখাতে পারবে কি
কোয়ান্টাম নামে কোন শব্দ পবিত্র কুরআন
–পবিত্র হাদীস শরীফে আছে ? অথচ এই
হারামে পরিপুর্ন কোয়ান্টাম আজ ইসলাম উনার
নাম ভাংগিয়ে ফায়দা হাসিল করছে। এই
কোয়ান্টামের যে প্রধান তাকে তারা গুরুজি
(গরুজি) বলে ডাকে । গুরুজি শব্দ হিন্দু
,বোদ্ধরা ব্যবহার করে থাকে। অর্থাৎ তার
নাম দিয়েই বুঝা যায় সে কিসের অনুসারী ।
এই গরুর সারা শরিরে সুন্নতের লেশমাত্র নাই
। তারে দেখলে মনে হয়না মুসলমান।
মেডিটেশনের নাম দিয়ে হরহামেশা
বেপর্দা হয়, নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে
(নাউযুবিল্লাহ)। তারা নাকি মেডিটেশনের নামে
শান্তি খুজে (নাউযুবিল্লাহ)? অথচ আল্লাহ পাক
ইরশাদ মুবারক করেছেন” সাবধান! নিশ্চয়
যিকিরের মাধ্যমে অন্তর প্রশান্তি লাভ করে”
। তাহলে এরা যিকির না করে কিসের শান্তি
তালাশ করে ? এরা ইবলিশি শান্তি তালাশ করে।
এই কোয়ান্টাম হক্ক্বুল ইবাদের নাম দিয়ে
লক্ষ লক্ষ মাটির ব্যাংক সারা দেশে ছড়িয়ে
রেখেছে । কোয়ান্টাম ফ্রি রক্ত সংগ্রহ
করে অধিক দামে বিক্রি করছে। প্রশ্ন
আসতে পারে এ টাকা তারা করে কি ? তারা
মুসলমানের টাকা উঠিয়ে এ টাকা পাহাড়ে
সন্ত্রাসী বোদ্ধদের পিছনে খরছ
করছে ,ইসলাম ধ্বংসের কাজে খরছ করছে,
বাকি টাকা আত্বসাত করে মউজ-মাস্তি করছে।
এই কাট্রা কাফির এজেন্টকে যারা মাটির ব্যাংক
নিজের কাছে রাখবে কিম্বা পশুর চামড়া দিবে
তাদের আদায় তো হবেইনা ,উলটা নানা আযাব
গযবে নিপতিত হবে ।
৬) আনজুমানে মুফিদুল ইসলামঃ আনজুমানে
মুফিদুল ইসলাম এর উত্থান বেওয়ারিশ লাশ বহন
করে । যা বর্তমানে ব্যবসায় পরিনত
হয়েছে । এরা সরকারী সাহায্য পায়,
ডোনেশন আসে । এদের যত গাড়ি তাও
এদের ক্রয়কৃত নয় । প্রতিবছর এরা চামড়া
তোলে। এ টাকা তারা লোক দেখানো নাম
করে কিছু খরছ করে বাকি টাকা লোপাট
করে । এদেরকেও পশুর চামড়া দিলে দিলে
আদায় হবেনা ।
৭) যেসকল ইয়াতিমখানা বা প্রতিষ্ঠান
শরিয়তবিরোধী কাজে জড়িত যেমন
তন্ত্রমন্ত্র করে,বেপর্দা হয়,ছবি
তোলে,খেলাধুলা করে,টিভি
দেখে,টিভিতে প্রোগ্রাম করে,
হরতাল,লংমার্চ, অবরোধ করে এদের পশুর
চামড়া আদায় হবেনা।
৮) ফাসিক ব্যক্তিকে পশুর চামড়া বা বিক্রয়কৃত
টাকা দিলে আদায় হবেনা ।
ফাসিক কাকে বলে ? যে ফরয ওয়াযিব,
সুন্নতে মুয়াক্কাদা তরক করে সে ফাসিক ।
গরীব কিন্তু ফাসিক অর্থাৎ দরিদ্র কিন্তু নামাজ
,রোজা আদায় করেনা,বেপর্দা
হয়,খেলাধুলা,গানবাজনা করে, ছবি তোলে,
টিভি দেখে ,বিড়ি সিগারেট খায়,গালিগালাজ
করে, পাপ কাজ করে অর্থাৎ হারাম কাজে
জড়িত এমন লোক যদি নিজের ভাই ও হয়
তাকে পশুর চামড়া বা বিক্রয়কৃত টাকা দেওয়া
যাবেনা, তবে দান করা যাবে । গরীব
আত্বীয়স্বজন,পাড়াপ্রতিবেশি,কাজের
লোকের ক্ষেত্রেও একই কথা
প্রযোয্য । অথচ আজকাল দেখা যায় মানুষ
নিজের গরীব আত্বিয়স্বজন ,পাড়া প্রতিবেশি
আছে তাদের ও তো হক আছে এই কথা
বলে সঠিক জায়াগায় পশুর চামড়া বা বিক্রয়কৃত টাকা
দেওয়া থেকে বিরত থাকে। ফাসিক
লোককে দান করলে তার নিজের টাকা খরছ
হবে বিধায় পশুর চামড়া বা বিক্রয়কৃত টাকা টাকা
দিয়ে বাহবা কুড়াতে চায় । (নাউযুবিল্লাহ)
অথচ মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক
করেছেন “ তোমরা নেক ও
পরহেজগারীতে পরষ্পরকে সাহায্য
কর,পাপ ও বদিতে পরষ্পরকে সাহায্য করনা” ।
পবিত্র হাদিস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে
বর্ণিত” নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন
কোন ফাসিকের প্রশংসা করা হয় তখন আল্লাহ
পাক ক্রুদ্ধ হন এবং সে কারণে আল্লাহ পাক
উনার আরশ কাঁপতে থাকে।“তাহলে ফাসিককে
সাহায্য করলে কি হবে ?