সেবাদাসী প্রথা ও তার ফসল কামসুত্র

 
download (4)

ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বইয়ের দোকানে “কামসূত্র” নামক একটা মোটা বই বিক্রি করা হয়। আমরা ছেলেরা তো অনেক মজা করে এই “কামসূত্র” বইটা পড়ি কিন্তু আমরা কি জানি এই কামসূত্র বইটার প্রতি পাতায় পাতায় কত নির্যাতিতা নারীর কান্না লুকিয়ে আছে ? আপনারা কি জানেন এই কামসূত্র বইটার ইতিহাস কি ? এই কামসূত্র বইটার ইতিহাস জানতে হলে আগে আমাদের দেখতে হবে এই কামসূত্র বই টা কত আগে লেখা হয়েছে। কামসূত্র বইটা লেখা হয়েছে সংস্কৃত ভাষায়। কমপক্ষে ৩০০০ হাজার বছর পূর্বে এই “কামসূত্র” বইটা লেখা হয়। তো আজ থেকে ৩০০০ বছর পূর্বে ভারত বর্ষে পড়াশুনা লেখালেখি করত কারা ? অবশ্যই ব্রাক্ষণরা। হ্যা ক্ষত্রিয়রা পড়াশুনা জানত তবে সেটা শুধু রাজ্য চালানোর জন্য যতটুকু দরকার হয় ঠিক ততটুকুই। কিন্তু ক্ষত্রিয়রা কখনই লেখালেখির জগতে ছিল না। প্রাচীন ভারতে লেখালেখির কাজটা শুধু ব্রাক্ষণরাই করত।

ভারতবর্ষে ইসলাম আসার পূর্বে নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েরা বিয়ের আগে মন্দিরে সেবাদাসী হিসাবে কাজ করতে হতো। মন্দির ধোয়া মোছা থেকে শুরু করে মন্দিরের ব্রাক্ষন পুরাহিতদের শয্যাসঙ্গী হওয়া এরকম প্রায় সব কাজই তাদের করতে হত। তো এই ব্রাক্ষণ পুরাহিতরা এই নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েদের সাথে প্রতিদিন উপুর্যপুরী FREE SEX করতো। এই মেয়েরা কিন্তু ব্রাক্ষনদের কেনা দাসী ছিল না, তারা শুধু তাদের বিয়ের আগের সময়টা এই মন্দিরে কাজ করতো সেবা দাসী হয়ে। বিয়ের পর এই নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েরা আর মন্দিরে যেত না। ব্রাক্ষণ পুরোহিতরা তখন চিন্তা করে আমরা যে এত মজা করে FREE SEX করছি আমাদের উচিত এই SEX এর ক্রিয়াকৌশল গুলি ভবিষ্যত্‍ প্রজন্মকে জানানো। তখনই মন্দিরের এই ব্রাক্ষণ পুরাহিতরা কামসূত্র নামে এই বইটি লিখে। তাছাড়া কামসূত্র বইটি একদিনে লেখা হয় নি আর শুধুমাত্র মল্লনাগ বাৎস্যায়ন নামক এক ব্যক্তি এই বইটা লিখেন নি। অনেক জনের হাত দিয়ে অনেক সময় নিয়ে কামসূত্র বইটি লেখা হয়েছে তা বইটি উল্টাইলেই বুঝা যায়। আর কামসূত্র বইটির বিভিন্ন অধ্যায়কে আরও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে তৎকালীন ভারতীয় ব্রাক্ষন পুরাহিতরা রা বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেন। যেমন ১. চারায়ণ লেখেন-সাধারণ কাম বিচার। ২. সুবর্ণাভ নামক লেখক লিখেন -যৌন কাম বিচার। ৩. ঘোটকমুখ লিখেন- যুবতী নারীর বিচার। ৪. গোমার্দীয় লিখেন-স্বামী-স্ত্রীর সম্বন্ধের বিচার। ৫. গণিকাপুত্র লিখেন-পরস্ত্রীগমন বিচার। ৬. দত্তক লিখেন-পতিতাদের কাম বিচার। ৭. কুচুমার লিখেন-দেহ সৌন্দর্য ও যৌনিক বৃদ্ধির উপায় বিচার।

আজও দক্ষিত ভারতের অনেক মন্দিরের গায়ে উলঙ্গ নারী পুরুষের এই কাম কলাগুলি প্রস্তর চিত্রের মাধ্যমে ফুটে আছে। [ তথ্যসূত্র: প্রাচীন ভারতের ইতিহাস, অতুল চন্দ্র রায়, নিঊ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি, ৮/১ চিন্তামণি দাস লেণ কোলকাতা-৭০০০৯]

হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র মতে নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা ব্রক্ষার পা থেকে জন্ম নিয়েছে। আমির খানের একটা অনুষ্ঠান নাম “সত্যমেভ” STAR PLUS CHANNEL এ ১ বছর আগে প্রতি রবিবারে হত। সেইখানে আমির খান একবার হিন্দু ধর্মের জাত প্রথা নিয়ে আলোচনা করাছিলেন। সেই “সত্যমেভ” অনুষ্ঠানে এক মন্দিরের ব্রাক্ষন পুরাহিত তার পা দেখিয়ে বলেছিল- “এই দাস রায় ভদ্র দত্ত পাল এই নিম্ন বর্ণের জাতের লোকেরা ব্রক্ষার পা থেকে জন্ম নিয়েছে। আমরা ব্রাক্ষণরা এদের কোন হিসাবেই ধরি না।” আজও দক্ষিন ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামে এখনো সেবাদাসী প্রথা টা রয়ে গেছে। দক্ষিন ভারতে প্রত্যন্ত গ্রামে এখনো কোন নিম্ন বর্নের হিন্দু মেয়ের বিয়ে হলে বিয়ের আগে তাকে কোন উচ্চ বর্ণের ব্রাক্ষন পুরাহিতদের সাথে রাতে ঘুমাইতে হয়। ছে ছে ছে!

 

 

এমনকি এই সেবাদাসী প্রথা এখনো ভারতে চলছে। সম্প্রতি কর্ণাটক রাজ্যের দেবনগর জেলার উত্তরঙ্গমালা দুর্গা মন্দিরে রাতের বেলায় নারীদের দেবতার নামে ‘উৎসর্গ’ করার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে – এই মর্মে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ওই অনুষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দেন৷ ভারতের মন্দিরে যে এখনো সেবাদাসী প্রথা চলছে তা ভারতের মিডিয়াতেই বলা হয়েছে।   আপনারা এই লিংকে যেয়ে এই ২০১৪ সালেও যে ভারতের মন্দিরে সেবাদাসী প্রথা চলছে তা জানতে পারবেন(http://www.natunbarta.com/international-analysis/2014/02/22/69676/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A8+%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80+%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%BE+%E0%A6%8F%E0%A6%95+%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F+%E0%A6%B2%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE)

 

 

দেবতারা যৌনতা প্রিয়, সনাতন ধর্মটা যৌনতা পূর্ণ, মন্দিরে চলে সেবাদাসী নামক পতিতাবৃত্তি, পুরোহিতদের কাজই হচ্ছে যৌন অকর্ম সাধন করা, অযাচার ব্যভিচারে পরিপূর্ণ ( http://goo.gl/%20RzG3XK )

 

 

এই সভ্য যুগে সেবাদাসী প্রথা পরিচালিত এবং প্রতিদিন গড়ে শতাধিক ধর্ষন সংঘটিত হওয়া দেশ
ভারত, যাদের বাজেটের ৩৪ কোটি ডলার আসে যৌন খাতে দেহব্যাবসা করে( http://goo.gl/RzG3XK )

তারা যে স্বাভাবিক ভাবেই যৌনতা বিষয়ে উদার হবে এটাই স্বাভাবিক,দেখুন ভারতে যৌন
কর্মীদের কি সুবিধা প্রদান করা হয় সরকারি ভাবে যৌনকর্মীদের জন্য প্রতি কেজি চাল ২ টাকা(http://www.bd-pratidin.com/mixter/2015/03/14/68647 )

 

 

আপনি কি জানেন কার মাধ্যমে ব্রাক্ষণদের কাম লালসার হাত থেকে এই নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েরা মুক্তি পেয়েছিল? উমাইয়া খিলাফতের সময়ে মুহম্মদ বিন কাসিম যখন রাজা দাহির কে পরাজিত করে পাকিস্তানের সিন্ধু জয় করেন তখন মহান মুসলিম সেনাপতি মুহম্মদ বিন কাসিম প্রথম ভারত বর্ষে এই সেবাদাসী প্রথাটা বন্ধ করেন। নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েরা তখন কৃতজ্ঞাতায় মুহম্মদ বিন কাসিমের মূর্তি বানিয়ে পূজা শুরু করে দিয়েছিল। পরে অবশ্য মুহম্মদ বিন কাসিম নিজ হাতে তাঁর সকল মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেন। [ তথ্যসূত্রঃ আল-বেরুনীর ভারত তত্ত্ব] এই জন্যই স্বামী বিবেকানন্দ দাস বলেছিলেন- “ ইসলাম তো ভারত বর্ষের নিপীড়িত জনগণের জন্য ঈশ্বরের আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল। ”

চিন্তা করে দেখুন ইসলাম যদি এই ভারতবর্ষে না আসতো তাইলে কি যে হত! আমি খুব অবাক হই যখন দেখি নেট জগতে ব্রাক্ষণ ছাড়া অন্যান্য গোত্র যেমন দাস রায় ভদ্র দত্ত পাল এই বংশের হিন্দু মেয়েরা ইসলাম ধর্মকে গালিগালাজ করে। আরে ইসলামই তো এইসব নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েদের কে ব্রাক্ষণদের লালসার হাত থেকে বাচিয়েছিল। সত্যিকথা বলতে কি ইসলাম যদি ভারতবর্ষে না আসত তাইলে আমরা এখনো ব্রাক্ষণদের দাস হিসাবেই থাকতাম। আর এই কারণে ব্রাক্ষণ ছেলেদের ইসলামের উপর এত রাগ। কারন ভারত বর্ষে ইসলাম আসার কারনেই তো ব্রাক্ষণদের FREE SEX করার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আজকে যেই সকল হিন্দু পেইজের এডমিন রা তাদের পেইজে প্রতিদিন মুসলমানদের আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কে গালিগালাজ করে যাচ্ছে আমি তাদের কে অনুরোধ করব আপনারা আগে শ্রী বিনয় ঘোষের “ভারত বর্ষের ইতিহাস”এই বইটা পড়ে আপনাদের ধর্মের সেবাদাসী প্রথাটা আগে ভাল করে বুঝেন তারপর দ্বীন ইসলামের সমালোচনা করেন। শ্রী বিনয় ঘোষ, অতুল চন্দ্র রায় থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় হিন্দু ঐতিহাসিক ব্রাক্ষণদের লালসার হাত থেকে নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েদের কে বাঁচানোর জন্য মুসলিম শাসকদের উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন। আজকে যেইসব হিন্দু পেইজে প্রতিদিন মুসলমানদের আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কে গালিগালাজ করা হচ্ছে সেইসব পেইজের এডমিন রা প্রাচীন ভারতের ইতিহাস সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জানে না। যেই ধর্ম তাঁর অসহায় মেয়েদের কে মন্দিরের পুরাহিতদের লালসার বস্তু বানায় আর যাই হোক সেই ধর্ম কখনো মানব জাতিকে মুক্তি দিতে পারবে না।

 

 

 

 

 

কামসূত্র Vs ব্রহ্মার কীর্তি

images (18)

ব্রহ্মার কথা | তিনি সৃষ্টিকর্তা | কিন্তু প্রজাপতি ব্রহ্মাও অজাচারে কম যান না | সরস্বতী পুরাণ বলে, ঊর্বশীকে দেখে স্বমেহন করতেন ব্রহ্মা | তাঁর শুক্রাণু জমা হত একটি পাত্রে | সেই পাত্রে জন্ম হয় ঋষি অগস্ত্য এবং অগস্ত্য জন্ম দেন সরস্বতীর | এই সূত্র অনুযায়ী সরস্বতী ব্রহ্মার নাতনি | আবার অন্য সূত্র বলে, ব্রহ্মার শুক্রাণু থেকে সরাসরি জন্ম হয় সরস্বতীর | কিন্তু আত্মজার রূপ দেখে মুগ্ধ হন প্রজাপতি | তিনি তাঁর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করতে চান | জন্মদাতার কামনা থেকে বাঁচতে পালিয়ে যান সরস্বতী | কিন্তু শেষ অবধি হার মানতে হয় ব্রহ্মার কামনার কাছে | ব্রহ্মা এবং সরস্বতী স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকেন পদ্ম ফুলে | প্রায় ১০০ বছর ধরে | তাঁদের পুত্রের নাম স্বয়ম্ভুমারু এবং কন্যা শতরূপা | কিন্তু এরপরেও ব্রহ্মার বিকৃত যৌন কামনা কমেনি | এতে বিদ্যা এবং জ্ঞানের দেপী সরস্বতী অভিশাপ দেন ব্রহ্মাকে | বলেন, দেবতাদের মূলস্রোতে থাকবেন না প্রজাপতি ব্রহ্মা | অর্থাৎ তিনি পূজিত হবেন না | হিন্দু দেবতাদের মূলধারার মধ্যে পড়েন না ব্রহ্মা | তাঁর রাজস্থানের পুষ্কর ছাড়া তাঁর মন্দির এবং অর্চনা বিরল | কুপিত হয়ে সরস্বতী তাঁকে ছেড়ে চলে যান | দেবী থেকে রূপান্তরিত হন নদীতে | সেখান থেকেই বৈদিক যুগের ‘সরস্বতী নদী’ | কৃষিপ্রধান সভ্যতার মূলে থাকা উর্বরতার উৎস এই নদীর উৎসমুখ ও প্রবাহ নিয়ে এখনও চলে গবেষণা | ব্রহ্মার অজাচারের প্রমাণ ঐতেরেয় ব্রাহ্মণ, শতপথ ব্রাহ্মণ, মৎস্য পুরাণ এবং ভাগবৎ পুরাণেও আছে | সমাজতাত্ত্বিকরা মনে করেন, ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে যৌনাচার বৈদিক যুগে বহুল প্রচলিত ছিল | তাই বাবা-মেয়ে এবং ভাই-বোন যৌনতাকে তখন বংশবৃদ্ধি বা সন্তান উৎপাদনের কারণ দেখিয়ে ‘অপরাধ’ তকমার বাইরে রাখা হত | রামভক্তরা কানে আঙুল দিলেও কোনও কোনও সূত্র বলে, রাম-সীতাও নাকি আসলে ভাই-বোন ছিলেন | ঐতিহাসিকরা মনে করেন, বৈদিক যুগের এই অন্ধকার রীতি-নীতি সমাজে প্রচলিত ছিল খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ১০০০ খ্রিস্টাব্দ অবধি | সেইজন্যেই তো একমাত্র ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মো কী… সূত্রঃHereআবার, ব্রহ্মা অহল্যা নামের এক অসাধারন সুন্দরী নারী তৈরি করেছিলেন। এই রমনীর সাথে ব্রহ্মা বিয়ে দিয়েছিলেন মহামুনি গৌতমের সাথে। যাই হোক ইন্দ্র ছিলেন গৌতমের সবচেয়ে প্রিয় শিষ্য। খুব বিশ্বাস করতেন গৌতম ইন্দ্রকে।কিন্তু ইন্দ্রের নজর ছিল সবসময় গৌতমের স্ত্রীর দিকে। তিনি সবসময় সুযোগ খুজতেন যে কিভাবে অহল্যার সাথে সঙ্গম করা যায়। একদিন মুনিবর তপস্যা করতে গেলেন। সেই সুযোগে ইন্দ্র পুরোপুরি মুনির ছদ্মবেশ ধরে এলেন মুনির পত্নির কাছে।চতুর ইন্দ্রের ছিদ্মবেশ ছিল খুবই নিখুত। তিনি এমনকি মুনির সব আচার আচরন নকল করেছিলেন। যাই হোক তিনি যখন তাঁর গুরুর ছদ্মবেশ ধরে গুরুপত্নীর কাছে আসলেন, তখন গুরুপত্নী অহল্যা বিস্মিত হয়ে ভাবলেন যে তাঁর স্বামী মহামুনি গৌতম তপস্যা থেকে এত দ্রুত ফিরে আসলেন কেন। সে কথা তিনি গৌতম মুনি রূপী ইন্দ্রকে জিজ্ঞেস করলেন। ইন্দ্র উত্তর দিলেন,“প্রিয়তমা, তোমার কথা হঠাৎ করে মনে হল আর মন চঞ্চল হয়ে উঠলো। তোমার সৌন্দর্যের কথা মনে এলে আমার ধ্যান ট্যান সব টুটে যায়”।যাক পতিপ্রাণা নারী অহল্যা আর কিছু না হলে স্বামীর বাহুতে ধরা দিলেন। চলতে লাগলো রমন পর্ব।কামে জর্জরিত ইন্দ্রের একবার মনেও এলো না যে অহল্যা শুধু বিবাহিতা পরনারীই নন, স্বয়ং মাতৃসমা গুরুপত্নি। এভাবেই গুরুপত্নীকে নষ্ট করলেন দেবতাদের রাজা ইন্দ্র। যাইহোক ইন্দ্র ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার বেশ পরে আসল মুনি গৌতম তপস্যা থেকে ফিরে এলেন। এসে তিনি স্ত্রীর শরীরে রতি গন্ধ পেলেন। এবং অবাক হয়ে বললেন এ ব্যাপার কি? অহল্যা করজোড়ে বললেন যে স্বামী নিজেই একটু আগে তাঁর সাথে রমন করে এখন আবার তাঁকেই দোষারোপ করছেন কেন? এই কথা শুনে মুনির মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। তিনি অমনি ধ্যান শুরু করে দিলেন। ধ্যানে জানতে পারলেন যে এই অপকর্মটি করেছে তারই প্রানপ্রিয় সন্তানতুল্য শিষ্য দেবতা ইন্দ্র। তিনি ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে ইন্দ্র কে ডাকতে লাগলেন। পুথিপত্র হাতে নিয়ে ইন্দ্র এমন নিরীহ ভঙ্গীতে প্রবেশ করলেন গুরুর ঘরে যেন তিনি ভাজা মাছটি উলটে খেতে জানেন না। কিন্তু মুনি তখন ইন্দ্রকে লক্ষ করে সক্রোধে বলতে লাগলেন, “রে দুরাচার পাপী ইন্দ্র আমি আমার সব বিদ্যা শিক্ষা তোকে দান করলাম আরতুই আমাকে ভাল গুরু দক্ষিনা দিলি আমার স্ত্রীর সাথে ছলনা করে তার সাথে সহবাস করে জাতি নষ্টের মাধ্যমে?যা আমি তোকে অভিশাপ দিলাম তোর সারা শরীর যোনিময় (vagina) হোক ।“ অভিশাপ দেয়ার সাথে সাথে দেব্রাজ ইন্দ্রের সারা শরীর সহস্র যোনি (vagina) দিয়ে ভরে গেল। অনেকদিন পরে ইন্দ্র এই শাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন কিন্তু সে কথা এখন থাক। মুনি অহল্যাকেও শাপ দিলেন পাথরে পরিনত হবার। সূত্রঃ-Amarblog.co

 

হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ ভরা যৌনতা আর অযাচার সাথে ফ্রি রগরগে টসটসে বাংলা চটি

 

 

হিন্দু ধর্ম মূলত বাংলা চটিকে হার মানায়! রগরগে চকচকে সেক্সের গল্পাদি ,sex tips দিয়ে সাজানো গোছানো ! সেক্সের এভাবে খোলামেলা আলোচনা ও চিত্রকর্ম আসলে কিভাবে একটা ধর্মের নীতি হয় তা আমার জানা নেই । খাজুরাহু মন্দিরের দেয়াল চিত্র। সমস্ত মন্দিরের দেয়াল জুড়েই আকা রয়েছে এমন সহস্র যৌণতার চিত্র, এই নাকি ধর্ম !!

 

samehindu ব্রহ্মা তার কন্যা স্বরস্বতির রুপে মুগ্ধ হয়ে তার সাথে সঙ্গম ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। স্বরস্বতি তার পিতার হাত থেকে বাচার জন্য ভুমির চারদিকে ছুটে বেড়াতে লাগলেন কিন্তু ব্রহ্মার হাত থেকে বাচতে পারলেন না। তারা স্বামী-স্ত্রী রুপে ১০০ বছর বাস করলেন এবং সয়ম্ভুমারু ও শতরুপা নামক এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দিলেন। সয়ম্ভুমারু ও শতরুপাও স্বামী স্ত্রী রুপে বসবাস করতে লাগলেন। Aitreaya Brahmana III : 33 // Satapatha Brahmana 1 : 4 : 7 : 1ff // Matsya Purana III : 32ff // Bhagabhata Purana III : 12 : 28ff অহল্যা,গৌতম মুনরি স্ত্রী,সদ্য সড়বাতা (গোসল) এবং আদ্র (ভেজা) বস্ত্র পরিহিতা অবস্থায় আশ্রমে প্রত্যাবর্তন কালে পথিমধ্যে গৌতম শিষ্য দেবরাজ ইন্দ্রের সাথে তার সাক্ষাত ঘটে। আদ্র বস্ত্রের মিথ্যা আবরণকে ভেদ করে উদগত যৌবনা অহল্যার রূপ লাবণ্য বিশেষ আকর্ষণীয় হযে় ফুটে উঠায় ইন্দ্রদেবের পক্ষে ধৈর্য ধারণ করা অসম্ভব হযে় পডে়,তিনি গুরুপত্নী অহল্যার সতীত্ব হরণ করেন। ত্রিকালজ্ঞ গৌতম মুনির কাছে একথা অজ্ঞাত থাকে না। তার অভিশাপে অহল্যা প্রস্তরে পরিণত হয়। আর ইন্দ্রদেবের সারা দেহে সহস্র যোনির উদ্ভব ঘটে। সুদীর্ঘকাল পরে ত্রেতাযুগে ঈশ্বরের অবতার রূপে শ্রীরাম চন্দ্র আবির্ভূত হন,তার পদ স্পশে অহল্যার পাষাণত্বঅপনোদিত হয়। (পঞ্চ পুরাণ,ষষ্ঠ খণ্ড,৬৯০ পৃষ্ঠা,মহাভারত,কৃত্তীবাসী রামায়ণের আদিকাণ্ডের ৬৫১ পৃষ্ঠা)১। যম ও যমী,যমজ ভাই-বোন। সূর্যদেবের ঔরসে ও উষাদেবীর গর্ভে তারা জন্মলাভ করে। যমী একদিন যমকে বলে- “তোমার সহবাসের জন্য আ অভিলাষিনী,গর্ভাবস্থা হতে তুমি আমার সহচর। বিধাতা মনে মনে চিন্তা করে রেখেছেন যে,তোমার ঔরসে আমার গর্ভে আমাদের পিতার এক নাতি জন্মাবে। তুমি পুত্রজন্মদাতা পতির ন্যায় আমার শরীরে প্রবেশ কর।” (ঋকবেদ মন্ডল-৯,সুক্ত ১০) সেই ঘটনাকে স্মরনীয় করে রাখতে হিন্দুরা প্রতিবছর’ভাইফোঁটা’নামক এক উৎসব পালন করে। ঐদিন যম আর যমীর অনুপ্রেরণায় হিন্দু ছেলেরা তাদের আপন বোনকে নিয়ে কল্পনা করে আর ভাবে- “ঈশ! আমার বোনটাও যদি যমীর মত হত…” ২। রাম ও সীতাকে আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই জানি। কিন্তু বৌদ্ধ দশরথ জাতক অনুযায়ী- রাম ও সীতা হল ভাই-বোন,পরে তাদের মধ্যে বিবাহ হয়। “দশরথ জাতক” অনুযায়ী রামের জনক রাজা দশরথ ও জননী রানী কৌশল্যার মধ্যে ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল,তথাপি তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল। ঋগ্বেদ- এ দেখা যায় দম্ভ নিজ বোন মায়াকে,লোভ নিজ বোন নিবৃত্তিকে,কলি নিজ বোন নিরুক্তিকে বিয়ে করেছিল। ২। শুধু ভাইবোন নয়,হিন্দু ধর্মে এমনকি মা-ছেলে,পিতা-কন্যার বিয়েতেও কোন নিষেধ নেই। ঋগ্বেদ-এ উল্লেখ আছে- পূষণ তার বিধবা মাকে বিয়ে করে দ্বিধিষূ অর্থ্যাৎ বিধবার স্বামী হয়েছিল। হিন্দুশাস্ত্র মৎস পুরাণে বর্ণিত আছে- ইশ্বর ব্রক্ষ্মা নিজ কণ্যা শতরুপার প্রতি প্রণয়াশক্ত হন এবং হিন্দুদের আদি মানব মনুর জন্ম হয় তাদের মিলন থেকেই।

 

দুর্গা পুজায় বেশ্যার ঘরের দরজার মাটি লাগে

দুর্গা পুজায় বেশ্যার ঘরের দরজার মাটি লাগে

সানন্দা ১৮ এপ্রিল ১৯৯১ দেহোপজীবিনী
সংখ্যা, শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা “গণিকাবৃত্তি : সমাজ,
সংস্কার এবং সমীক্ষা” প্রচ্ছদ প্রতিবেদন , পৃস্ঠা: ১৯ পৃষ্ঠার স্ক্যান কপি