Category Archives: মালউন-হিন্দু
হিন্দু মহিলাদের শাসনে হিন্দূ ঘরে মুসলিমবিদ্বেষের জীবিত থাকা.
“বাঙালি (হিন্দু) পুরুষ ইংরেজ রাজত্বের আগে একমাত্র মুসলমান নবাবের কর্মচারী হইলে মুসলমানী পোশাক পরিতো, উহা অন্দরে লইয়া যাওয়া হইতো না। বাহিরে বৈঠকখানার পাশে একটা ঘর থাকিতো, সেখানে চোগা-চাপকান-ইজার ছাড়িয়া পুরুষেরা ধুতি পরিয়া ভিতরের বাড়িতে প্রবেশ করিতো। তাহার প্রবেশদ্বারে গঙ্গার পানি ও তুলসীপাতা থাকিতো, ম্লেচ্ছ পোশাক পরিবার অশুচিতা হইতে শুদ্ধ হইবার জন্য পুরুষেরা গায়ে গঙ্গার পানি ছিটাইয়া মাথায় একটা দুইটা তুলসীপাতা দিতো।” (সূত্র: আত্মঘাতী বাঙালী, নীরদ সি চৌধুরী, পৃষ্ঠা ৫০)
–
এখানে চিন্তার বিষয়টি হচ্ছে, কেন মুসলমানী পোষাক নিয়ে হিন্দু পুরুষেরা তাদের অন্দরে প্রবেশ করতে পারতো না? কারা তাদেরকে প্ররোচিত করতো গায়ে গঙ্গার পানি ও তুলসীপাতা দিতে?
সুলতান মাহমুদ গযনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন ভারত অভিযানে এসেছিলেন, তখন উনার সফরসঙ্গী ছিলেন মহাজ্ঞানী আবু রায়হান আল বিরুনী। আল বিরুনী উনার সফরলব্ধ অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে লিখেছিলেন ‘তাহক্বীক্বে হিন্দ’ বা ‘ভারততত্ত্ব’ কিতাবটি। ১০৩১ ঈসায়ীতে তথা আজ থেকে প্রায় এক হাজার বছর আগে লেখা সেই কিতাবে উল্লেখ করা রয়েছে, “মুসলমানদের নাম শুনিয়ে, মুসলমানদের পোশাক পরিয়ে, মুসলমানদের চেহারার নকল করে হিন্দুরা শিশুদের ভয় দেখায়।” (সূত্র: ভারততত্ত্ব, আবু মহামেদ হবিবুল্লাহ সম্পাদিত, দিব্যপ্রকাশ, পৃষ্ঠা ৬)
–
হিন্দু পরিবারের শিশুদের মনে ছোটবেলা থেকেই মুসলমানদের প্রতি ভয় ঢুকিয়ে দেয়ার এই কাজটি করতো কারা? একটু ফিকির করলেই বোঝা যাবে যে, এই কাজটি করতো হিন্দুদের মায়েরা। কারণ দৈত্য-দানোবের ভয় দেখিয়ে শিশুদের ঘুম পাড়ানোর কাজটি তো মায়েরাই করে থাকে। সিঁদুরপরা হিন্দু মায়েরা তাদের শিশুদের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়াতে হাজার বছর ধরে বলে এসেছে যে, “মুসলমানরা হচ্ছে দৈত্য! মুসলমানরা হচ্ছে অসুর!” নাউযুবিল্লাহ!
–
বঙ্গবন্ধু শেখ সাহেবের আত্মজীবনীতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মুসলমানদের ব্যাপারে হিন্দু মহিলারা কতোটা উগ্র। তিনি লিখেছেন-
“আমি (বঙ্গবন্ধু) যখন কোনো হিন্দু বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে যেতাম, আমাকে অনেক সময় তাদের ঘরের মধ্যে নিতে সাহস করতো না আমার সহপাঠীরা। একদিনের একটা ঘটনা আমার মনে দাগ কেটে দিয়েছিল, আজও সেটা ভুলি নাই। আমার এক বন্ধু ছিল ননীকুমার দাস। একসাথে পড়তাম, কাছাকাছি বাসা ছিল, দিনভরই আমাদের বাসায় কাটাতো এবং গোপনে আমাদের সাথে খেত। ও ওর কাকার বাড়িতে থাকতো। একদিন ওদের বাড়িতে যাই। ও আমাকে ওদের থাকার ঘরে নিয়ে বসায়। ওর কাকীমাও আমাকে (বাহ্যত) খুব ভালবাসতো। আমি চলে আসার কিছু সময় পর ননী কাঁদো কাঁদো অবস্থায় আমার বাসায় এসে হাজির। আমি বললাম, “ননী কি হয়েছে?” ননী বললো, “তুই আর আমাদের বাসায় যাস না। কারণ, তুই চলে আসার পর কাকীমা আমাকে খুব বকেছে তোকে ঘরে আনার জন্য এবং সমস্ত ঘর আবার পরিষ্কার করেছে পানি দিয়ে ও আমাকে ঘর ধুতে বাধ্য করেছে।” (সূত্র: অসমাপ্ত আত্মজীবনী, শেখ মুজিবুর রহমান, পৃষ্ঠা ২৩)
–
বিভিন্ন বইতে হিন্দু বাড়িতে মুসলমান ঢুকতে না দেয়া সম্পর্কিত বর্ণনাগুলো মা-কাকী-ঠাকুরমা সম্পর্কিত এবং বাস্তব অভিজ্ঞতাও তাই বলে। পূজা-অর্চনা আর হিন্দুয়ানী যত কুসংস্কার রয়েছে, তার প্রত্যেকটিই এই একবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত ধরে রেখেছে এই হিন্দু মহিলাগুলোই। এখনও মন্দিরে হিন্দুদের মহিলাগুলোই যায়, পুরুষরা তেমন একটা যায় না। মুসলিম শাসনামলে হিন্দু পুরুষরা উপার্জনের স্বার্থে বাহিরে যে আট-দশ ঘণ্টা মুসলিম প্রভাবে থাকতো, তার পুরোটাই কেটে যেতো হিন্দু মহিলাদের দ্বারা দিনের বাকি সময়টিতে ঘরের মধ্যে প্রবল হিন্দুয়ানী পরিবেশ এবং মুসলিমবিদ্বেষী আবহের দ্বারা। অর্থাৎ গোটা ভারতবর্ষে হাজার বছর ধরে মুসলিম শাসন চললেও হিন্দুদের ঘরের ভেতরের যে মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দুয়ানী আবহ, তাতে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। কারণ সেখানে চলতো হিন্দু মহিলাদের শাসন।
পাপাত্মা গান্ধীর বিকৃত যৌনজীবন নিয়ে ইতিহাস
পাপাত্মা গান্ধীর বিকৃত যৌনজীবন নিয়ে ইতিহাস https://apis.google.com/_/scs/apps-static/_/js/k=oz.gapi.bn.FP3QwucB8MI.O/m=auth/exm=plusone/rt=j/sv=1/d=1/ed=1/am=AQ/rs=AGLTcCOpAaKt13dBUczh5P-LGCN7O-M1IQ/t=zcms/cb=gapi.loaded_1https://apis.google.com/_/scs/apps-static/_/js/k=oz.gapi.bn.FP3QwucB8MI.O/m=plusone/rt=j/sv=1/d=1/ed=1/am=AQ/rs=AGLTcCOpAaKt13dBUczh5P-LGCN7O-M1IQ/t=zcms/cb=gapi.loaded_0//