রেন্ডির ( India ) জাতির কথিত ড্যাড লেংটা পাপাত্মা গান্ধীকে নিয়ে কিছু কথা

গান্ধী ছিল বর্ণবাদী ব্রিটিশ তাঁবেদার
√ ভারতের অবিসংবাদিত চোর, লেংটা পাপাত্মা গান্ধী ছিল চরম বর্ণবাদী ও তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নির্লজ্জ তাঁবেদার। বর্ণবাদকে উসকে দিয়ে ব্রিটিশদের মন জুগিয়েছিল সে। বর্বর অসভ্য বলে কৃষ্ণাঙ্গদের গালি দিয়েও ভর্ৎসনা করতো সে। http://goo.gl/rLUcVv
তার জীবনবৃত্তান্ত এবং ‘সত্যাগ্রহ ইন সাউথ আফ্রিকা’ গ্রন্থের ওপর গবেষণা করে তার এমন মনোভাব ও ক্রিয়াকলাপের সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত দুই দ. আফ্রিকার অধ্যাপক। গান্ধী সম্পর্কে তাদের দেয়া অপ্রত্যাশিত এ তথ্য নিয়েই গণমাধ্যমে শুরু হয়েছে তোলপাড়। এ খবর প্রকাশ করেছে ফার্স্টপোস্ট। সম্প্রতি ওই গবেষণালব্ধ তথ্য নিয়ে তারা রচনা করেছেন ‘দ্য সাউথ আফ্রিকান গান্ধী : স্ট্রেচার-বিয়ারার অব এম্পেরর’ নামে বই। দ. আফ্রিকায় সে আইনবিদ হিসেবে নিয়োজিত থাকাকালে (১৮৯৩-১৯১৪) নিগ্রোদের বিরুদ্ধে বার্ণবাদী বিদ্বেষ উসকে দিয়েছিল বলে বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। http://goo.gl/rLUcVv
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আহত ব্রিটিশ যোদ্ধাদের স্ট্র্যাচারে বহন করে টেনে টেনে সেবাশুশ্রূষা করেছিল লেংটা পাপাত্মা গান্ধী। গান্ধী সম্পর্কে এসব বক্তব্য সত্য বলে মত দিয়েছে লেখিকা অরুন্ধতী রায়। সে বলে, গবেষণায় গান্ধীর যে চরিত্র ফুটে উঠেছে তা তার সম্পর্কে আমাদের স্বাভাবিক চিন্তাচেতনার সম্পূর্ণ বিপরীত। লেংটা পাপাত্মা গান্ধী একজন সাম্প্রদায়িক ও লিঙ্গভিত্তিক অনাচারের সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে নিন্দীত। গান্ধীর এসব নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে গণমাধ্যমে এক প্রকার তোলপাড় শুরু হয়েছে। http://goo.gl/rLUcVv
√ ইংরেজ এজেন্ট ছিল গান্ধী
ভারতের সুপ্রিমকোর্টের সাবেক বিচারপতি ও প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান মার্কন্ডেয় কাটজু লেংটা পাপাত্মা গান্ধীকে ব্রিটিশদের এজেন্ট বলে দাবি করেছে। তার মতে, ভারতের বহু ক্ষতি করেছে এই গান্ধী।
কাটজুর নিজের ফেসবুক পেজ এ গান্ধী – এ ব্রিটিশ এজেন্ট শিরোনামে লিখেছে, আমার মতে লেংটা পাপাত্মা গান্ধী ব্রিটিশদের এজেন্ট ছিল, সে দেশের বহু ক্ষতি করেছে। http://goo.gl/vkAi39
√ গান্ধীকে ব্রিটিশদের এজেন্ট বলার পেছনে বিচারপতি কাটজু তিনটি কারণ দেখিয়েছে। সে বলেছে, ভারতে চিরকালই ধর্ম, জাতি, বর্ণ, ভাষার বিপুল বৈচিত্র্য রয়েছে। ব্রিটিশরা চিরকালই এদেশে ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি চালাতে চেয়েছে। ব্রিটিশদের উদ্দেশ্য জেনেও দশকের পর দশক ধরে ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মকে রাজনীতির মধ্যে টেনে এনে গান্ধী আসলে ইংরেজদের পলিসি স্বার্থক করতে চেয়েছিলেন। http://goo.gl/vkAi39
১৯১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এদেশ ফিরে আসার পর থেকে ১৯৪৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লেংটা পাপাত্মা গান্ধী তার প্রতিটি বক্তব্যে প্রতিটি লেখায় হিন্দু ধর্মের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। হিন্দু ধর্মীয় ভাবনা যেমন রামরাজ্য, গোরক্ষা, ব্রহ্মচর্য, বর্ণাশ্রম ইত্যাদিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে। ১৯২১ সালে ইয়ং ইন্ডিয়াতে গান্ধী লিখে ছিল, আমি একজন সনাতনী হিন্দু। আমি বর্ণাশ্রম ধর্মে বিশ্বাস করি। গো মাতাকে রক্ষা করা উচিত বলে আমি মনে করি। গান্ধীর যে কোনো জনসভায় চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে রঘুপতি রাঘব রাজা রাম গাওয়া হতো। http://goo.gl/rLUcVv
উপরোক্ত আলোচনা এই মর্মে প্রতীয়মান হয় যে , লেংটা মানব লেংটা পাপাত্মা গান্ধী বিট্রিশদের বিশ্বস্ত কুকুর ছিল । বিট্রিশরা নিজের সন্তানদের থেকে বিশ্বস্ত কুকুরকে ভালবাসে বেশি ।
তাই , বিট্রিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন বিট্রিশদের বিশ্বস্ত কুকুর গান্ধীর ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে তাকে সম্মান প্রদর্শন করছে ।
কারন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গান্ধী চেয়েছিলেন ব্রিটিশদের সহায়তা করতে, বিনিময়ে ব্রিটিশরা ভারতকে স্বাধীন রাষ্ট্র দিবে। এসকল কারনেই হিন্দুদের লেংটা পাপাত্মা গান্ধীকে প্রেতাত্মা গান্ধী মনে করে বিজ্ঞজনেরা।
লেখাটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন।
Source :
2. ইংরেজ এজেন্ট ছিলেন গান্ধী—-http://www.jugantor.com/ten-horizon/2015/03/11/232899
3. গান্ধী ব্রিটিশ চর ছিলেন’—-http://www.kalerkantho.com/online/world/2015/03/18/200113
4.গান্ধী ছিলেন বর্ণবাদী ব্রিটিশ তাঁবেদার—http://www.jugantor.com/ten-horizon/2015/09/08/320413
5.ব্রিটিশ পার্লামেন্ট চত্বরে গান্ধীর ভাস্কর্য উম্মোচন – http://goo.gl/TwYyxN

হিন্দু মহিলাদের শাসনে হিন্দূ ঘরে মুসলিমবিদ্বেষের জীবিত থাকা.


images

 

“বাঙালি (হিন্দু) পুরুষ ইংরেজ রাজত্বের আগে একমাত্র মুসলমান নবাবের কর্মচারী হইলে মুসলমানী পোশাক পরিতো, উহা অন্দরে লইয়া যাওয়া হইতো না। বাহিরে বৈঠকখানার পাশে একটা ঘর থাকিতো, সেখানে চোগা-চাপকান-ইজার ছাড়িয়া পুরুষেরা ধুতি পরিয়া ভিতরের বাড়িতে প্রবেশ করিতো। তাহার প্রবেশদ্বারে গঙ্গার পানি ও তুলসীপাতা থাকিতো, ম্লেচ্ছ পোশাক পরিবার অশুচিতা হইতে শুদ্ধ হইবার জন্য পুরুষেরা গায়ে গঙ্গার পানি ছিটাইয়া মাথায় একটা দুইটা তুলসীপাতা দিতো।” (সূত্র: আত্মঘাতী বাঙালী, নীরদ সি চৌধুরী, পৃষ্ঠা ৫০)

এখানে চিন্তার বিষয়টি হচ্ছে, কেন মুসলমানী পোষাক নিয়ে হিন্দু পুরুষেরা তাদের অন্দরে প্রবেশ করতে পারতো না? কারা তাদেরকে প্ররোচিত করতো গায়ে গঙ্গার পানি ও তুলসীপাতা দিতে?

সুলতান মাহমুদ গযনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন ভারত অভিযানে এসেছিলেন, তখন উনার সফরসঙ্গী ছিলেন মহাজ্ঞানী আবু রায়হান আল বিরুনী। আল বিরুনী উনার সফরলব্ধ অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে লিখেছিলেন ‘তাহক্বীক্বে হিন্দ’ বা ‘ভারততত্ত্ব’ কিতাবটি। ১০৩১ ঈসায়ীতে তথা আজ থেকে প্রায় এক হাজার বছর আগে লেখা সেই কিতাবে উল্লেখ করা রয়েছে, “মুসলমানদের নাম শুনিয়ে, মুসলমানদের পোশাক পরিয়ে, মুসলমানদের চেহারার নকল করে হিন্দুরা শিশুদের ভয় দেখায়।” (সূত্র: ভারততত্ত্ব, আবু মহামেদ হবিবুল্লাহ সম্পাদিত, দিব্যপ্রকাশ, পৃষ্ঠা ৬)

হিন্দু পরিবারের শিশুদের মনে ছোটবেলা থেকেই মুসলমানদের প্রতি ভয় ঢুকিয়ে দেয়ার এই কাজটি করতো কারা? একটু ফিকির করলেই বোঝা যাবে যে, এই কাজটি করতো হিন্দুদের মায়েরা। কারণ দৈত্য-দানোবের ভয় দেখিয়ে শিশুদের ঘুম পাড়ানোর কাজটি তো মায়েরাই করে থাকে। সিঁদুরপরা হিন্দু মায়েরা তাদের শিশুদের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়াতে হাজার বছর ধরে বলে এসেছে যে, “মুসলমানরা হচ্ছে দৈত্য! মুসলমানরা হচ্ছে অসুর!” নাউযুবিল্লাহ!

বঙ্গবন্ধু শেখ সাহেবের আত্মজীবনীতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মুসলমানদের ব্যাপারে হিন্দু মহিলারা কতোটা উগ্র। তিনি লিখেছেন-

“আমি (বঙ্গবন্ধু) যখন কোনো হিন্দু বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে যেতাম, আমাকে অনেক সময় তাদের ঘরের মধ্যে নিতে সাহস করতো না আমার সহপাঠীরা। একদিনের একটা ঘটনা আমার মনে দাগ কেটে দিয়েছিল, আজও সেটা ভুলি নাই। আমার এক বন্ধু ছিল ননীকুমার দাস। একসাথে পড়তাম, কাছাকাছি বাসা ছিল, দিনভরই আমাদের বাসায় কাটাতো এবং গোপনে আমাদের সাথে খেত। ও ওর কাকার বাড়িতে থাকতো। একদিন ওদের বাড়িতে যাই। ও আমাকে ওদের থাকার ঘরে নিয়ে বসায়। ওর কাকীমাও আমাকে (বাহ্যত) খুব ভালবাসতো। আমি চলে আসার কিছু সময় পর ননী কাঁদো কাঁদো অবস্থায় আমার বাসায় এসে হাজির। আমি বললাম, “ননী কি হয়েছে?” ননী বললো, “তুই আর আমাদের বাসায় যাস না। কারণ, তুই চলে আসার পর কাকীমা আমাকে খুব বকেছে তোকে ঘরে আনার জন্য এবং সমস্ত ঘর আবার পরিষ্কার করেছে পানি দিয়ে ও আমাকে ঘর ধুতে বাধ্য করেছে।” (সূত্র: অসমাপ্ত আত্মজীবনী, শেখ মুজিবুর রহমান, পৃষ্ঠা ২৩)

বিভিন্ন বইতে হিন্দু বাড়িতে মুসলমান ঢুকতে না দেয়া সম্পর্কিত বর্ণনাগুলো মা-কাকী-ঠাকুরমা সম্পর্কিত এবং বাস্তব অভিজ্ঞতাও তাই বলে। পূজা-অর্চনা আর হিন্দুয়ানী যত কুসংস্কার রয়েছে, তার প্রত্যেকটিই এই একবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত ধরে রেখেছে এই হিন্দু মহিলাগুলোই। এখনও মন্দিরে হিন্দুদের মহিলাগুলোই যায়, পুরুষরা তেমন একটা যায় না। মুসলিম শাসনামলে হিন্দু পুরুষরা উপার্জনের স্বার্থে বাহিরে যে আট-দশ ঘণ্টা মুসলিম প্রভাবে থাকতো, তার পুরোটাই কেটে যেতো হিন্দু মহিলাদের দ্বারা দিনের বাকি সময়টিতে ঘরের মধ্যে প্রবল হিন্দুয়ানী পরিবেশ এবং মুসলিমবিদ্বেষী আবহের দ্বারা। অর্থাৎ গোটা ভারতবর্ষে হাজার বছর ধরে মুসলিম শাসন চললেও হিন্দুদের ঘরের ভেতরের যে মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দুয়ানী আবহ, তাতে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। কারণ সেখানে চলতো হিন্দু মহিলাদের শাসন।

পাপাত্মা গান্ধীর বিকৃত যৌনজীবন নিয়ে ইতিহাস

পাপাত্মা গান্ধীর বিকৃত যৌনজীবন নিয়ে ইতিহাস  https://apis.google.com/_/scs/apps-static/_/js/k=oz.gapi.bn.FP3QwucB8MI.O/m=auth/exm=plusone/rt=j/sv=1/d=1/ed=1/am=AQ/rs=AGLTcCOpAaKt13dBUczh5P-LGCN7O-M1IQ/t=zcms/cb=gapi.loaded_1https://apis.google.com/_/scs/apps-static/_/js/k=oz.gapi.bn.FP3QwucB8MI.O/m=plusone/rt=j/sv=1/d=1/ed=1/am=AQ/rs=AGLTcCOpAaKt13dBUczh5P-LGCN7O-M1IQ/t=zcms/cb=gapi.loaded_0//

গবেষক ও টেলিভিশন প্রযোজক জ্যাড এডামস রচিত ‘গান্ধী: নেইকেড অ্যাম্বিশন’ নামে একটি বই রয়েছে। সে বিষয়ে ব্রিটেনের ‘দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট’ পত্রিকার শিল্প ও বিনোদন পাতায় মুদ্রিত গান্ধীর দুই স্কন্ধে হাস্যোজ্জ্বল শয্যাসঙ্গীনি মনু ও আভার ছবি সম্বলিত লেখকের নিবন্ধের শিরোনাম- ‘থ্রিল অব দ্য চেস্ট: দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট গান্ধীজ সেক্স লাইফ’
অর্থাৎ সতীত্বের শিহরণ: গান্ধীর যৌনজীবনের সত্যাবলী।
( পাঠক ছবিগুলো খুব ভালো করে দেখুন বৃদ্ধ লম্পট গান্ধী যেখানেই গেছে সেখানেই নিজের নাতি মনু, কানু, আর আভাকে দুই হাতে জড়িয়ে ধরে গিয়েছে। নারীদেহের গরম স্পর্শ ছাড়া এক মুহূর্তও গান্ধী থাকতে পারতো না। রাতে নিজের নাতির শরীর ভোগ করতো আর দিনে শরীর জড়িয়ে ধরে ঘুরে বেড়াতো )
image
অনলাইন বুক স্টোর আমাজন ছাড়াও বইটি কিন্ডেলে পাওয়া যায়। ইংরেজিতে লেখা ২৮৮ পৃষ্টার এ বইয়ের প্রকাশক লন্ডনেরই কোয়েরকাস বুকস। ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দুদের অবিস্মরণীয় মর্যাদায় সমাসীন আধ্যাত্মিক ও অসহিংস আন্দোলনের প্রানপুরুষ ও ভারতের জাতির পিতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী।
ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ জ্যাড এডামস গুজরাটে গান্ধীর জন্ম, তার বেড়ে ওঠা ও ১৯৪৮ সালে এক হিন্দু সন্ত্রাসী কর্তৃক প্রাণনাশের ঘটনাবলী তুলে ধরে। একই সঙ্গে লেখক তুলে ধরে- কী করে তার জীবনাদর্শ বিশ্বে পরিবর্তন বয়ে আনে: ভিক্টোরিয়ান লন্ডনে ব্যারিস্টারি অর্জন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বোয়ের যুদ্ধকালীন নাগরিক আন্দোলন পরিচালনা, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে নেতৃত্বদান, ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে স্বায়ত্বশাসনের দাবি এবং ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের বিরোধীতায় রক্তক্ষয়ী দাঙ্গারোধে আমরন অনশন। পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন চিত্রপটে লেখক দেখিয়েছে আজকের বিশ্বে গান্ধীর ব্যতিক্রমধর্মী জীবন ও দর্শনের প্রয়োজনীয়তা। ওই বইটি প্রসঙ্গে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকা প্রকাশিত নিবন্ধের ছবির ক্যাপশনে বলা হয়েছে- ধর্মীয় সতীত্ব যখন দায়বদ্ধ, তখন গান্ধীর জীবনাচারে উলঙ্গ বালিকার পাশে শয়ন নিয়ে এ বইটির অবতারণা। বাস্তবে সে ছিলো যৌনপাগল, তাই-ই লিখেছে তার জীবনী লেখক জ্যাড এডামস।
image
ওই নিবন্ধে লেখক লিখেছে- গান্ধীর অস্বাভাবিক যৌনজীবন গোপন কোনো বিষয় ছিল না। তবু সতীত্ব রক্ষার বিষয়ে সে তার অনুসারীদের সব সময়ই উপদেশ দিতেন, কখনো তা বিরক্তিকরও হতো। সেই বিরত থাকার পন্থাকে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু ‘অস্বাভাবিক ও অপ্রাকৃতিক’বলে আখ্যায়িত করে। কিন্তু আধ্যাত্ম সাধনায় এমন কী জটিল বিষয় গান্ধীর জীবনে দেখা দেয়, যা তাকে এমনটা নির্লিপ্তপ্রান করে তোলে?
image
এক্ষেত্রে লেখক তার সবিশেষ গবেষণা থেকে বলেছে, গান্ধী সম্পর্কিত এ বিষয়গুলো তার জীবদ্দশায় দৃশ্যমান, কিন্তু তাকে ‘মহাত্মা’ বা ‘জাতির পিতা’য় সমাসীন করতে সেগুলো বিনষ্ট করা হয়েছে। বাস্তবে, ট্রাভানকোর রাজ্যের (মালায়লাম বা থিরুভানানথুপুরাম, যা বর্তমান তামিল নাডুর দক্ষিনে অবস্থিত) প্রধানমন্ত্রী তাকে ‘এ মোস্ট ডেঞ্জারাস, সেমি-রেপ্রেসড সেক্স মেনিয়াক’ বা ‘ভয়ানক ও অর্ধ-অবদমিত যৌনপাগল’ প্রতিপন্ন করেছে।
গান্ধী ১৮৮৩ সালে গুজরাটে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৪ বছর বয়সী কস্তুরবা’র সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের স্বাভাবিক যৌনজীবন ছিল এবং পরিবারের একটি ভিন্ন ঘরে তারা বসবাস করতেন। দ্রুতই কস্তুরবা গর্ভবতী হন। দু’বছর পর মৃত্যুশয্যাশায়ী পিতার পাশে বসা গান্ধী, এক সময়ে কস্তুরবার সঙ্গে সঙ্গম করতে গেলে, ফিরে এসে দেখেন পিতা ইহলোক ত্যাগ করেছে। এতে তরুণ গান্ধী তার ‘কামুকী যৌনাচার’ (লাস্টফুল লাভ)-কে পিতার মৃত্যুর জন্য দায়ী করলো।
তবু ত্রিশ বছর বয়স পর্যন্ত বৈবাহিক বাদে যৌনাচারের প্রতি সে নির্লিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তা দক্ষিন আফ্রিকার বোয়ের যুদ্ধ ও জুলু উত্থানকালীন দারিদ্র ও কৌমার্যকে ধারন করে। এরপর ৩৮ বছর বয়সে ১৯০৬ সালে ব্রাহ্মর্যের ব্রতে নিবেদিত হয়, যা হিন্দু বিশ্বাস মতে কেবল কৌমার্য ছাড়া সম্ভব নয়। গান্ধীর জীবনে দারিদ্রকে বরন যতটা সহজ ছিল, কৌমার্য অর্জন ততটা সহজ হয়নি।
image
তাই সে কতগুলো জটিল পন্থার অনুগামী হন, যা যৌনালাপ বা আচরণেও অক্ষত থাকে। এই ব্রতে অনুগামী হওয়ার এক বছরের মাঝে সে তার পত্রিকা ‘ইন্ডিয়ান ওপিনিয়ন’-এর পাঠকদের জানান- ‘প্রতিটি চিন্তাশীল ভারতীয়ের কর্তব্য বিয়ে না করা। আর বিয়ের ক্ষেত্রে অক্ষমদের উচিত স্ত্রীসঙ্গম থেকে বিরত থাকা’। সে জন্য সে আশ্রম গড়লো, যেখানে বালক ও বালিকারা সতীত্বপূর্ণভাবে একত্রে গোসল ও শয়ন করত। কিন্তু যৌনালাপের জন্য শাস্তি পেত। নারী ও পুরুষকে বিচ্ছিন্ন করা হতো এবং গান্ধীর পরামর্শ মতে বিবাহিতরা তাদের স্ত্রীদের সঙ্গেই থাকত ও অবদমিত হলে শীতল স্নান নিত। কিন্তু এই বিধি-নিষেধ বা পন্থাগুলো তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি।
গান্ধীর সেক্রেটারির আকর্ষনীয়া বোন, সুশীলা নায়ার, যিনি তার বালিকা বয়স থেকেই ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলো, সেও গান্ধীর সঙ্গে একত্রে গোসল ও শয়ন করতো। এক্ষেত্রে গান্ধী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলে জানালো, ‘তার গোসলকালীন চোখ বন্ধ করে থাকি, জানিও না তার পরিধেয় কিছু রয়েছে কি নেই, তবে সাবান মাখার শব্দ পেতাম’।
এতে আশ্রমবাসীরা ক্ষুব্ধ হত। তথাপি কস্তুরবা’র মৃত্যুর পর বয়স্ক গান্ধীর পাশে নারীর সমাগমই বাড়তে থাকে। আশ্রমের নিয়মানুযায়ী যে সকল স্ত্রীর স্বামীর সঙ্গে থাকা নিষেধ ছিল, তারা গান্ধীর পাশে যেয়ে ঘুমাতো। গান্ধী নিজেই বলে গেছে, ‘তার রতি ধারনে যে কেউ জয়ী হবার ক্ষমতা অর্জন করবে’।
image
দেখা গেছে, দুর্জেয় সময়ের জন্য বিপুল আধ্যাত্মিক বর্মের প্রয়োজন হয়। তাই ১৯৪৭ সালে যে সুশীলার বয়স হয়েছিল ৩৩, তার দ্বিগুনেরও বেশি বয়সী অর্থাৎ ৭৭ বছরের গান্ধীর বিছানায় নতুন কারো স্থান করার তাগিদ ছিল। স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত বাংলায় অব্যাহত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রশমনের পরিবর্তে তিনি তার ১৮ বছরের নাতনী মনুকে ডেকে পাঠালো এবং তার সঙ্গে শয়ন করলো। গান্ধী মনুকে বলেছে, ‘আমাদের দুজনকে মুসলমানরা হত্যা করতে পারে এবং সে জন্য আমাদের শুদ্ধির অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে এবং এখন থেকে আমাদের উভয়কে উলঙ্গ ঘুমাতে হবে’।
image
অথচ ব্রাহ্মচর্চায় এমন রীতির কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই। তবু গান্ধী ‘যৌন অবচেতনা’র বিপরীতে সতীত্বের নতুন অনুসরনগত পদ্ধতিকে ব্যক্তিজীবনে স্থান দেয়। ভারত যতই স্বাধীনতার পানে এগিয়ে যাচ্ছিল তার এ কথাগুলোও ততই উচ্চকিত হয়েছে: ‘আই হোল্ড দ্যাট ট্রু সার্ভিস অব দ্য কান্ট্রি ডিমান্ডস দিস অবজারভেন্স’। অর্থাৎ ‘আমি সেই সত্যিকার সেবাটি ধারন করেছি, যা এই দেশ চেয়েছে’। গান্ধীর এ আচরণগুলো নিয়ে যখন নানা প্রশ্ন দেখা দেয়, তখন গান্ধীই তা একাগ্রে এগিয়ে নিতে সংকল্পবদ্ধ হয় এবং বলে: ‘যদি আমি মনুকে আমার সঙ্গে শুতে না দেই, অথচ যে শোওয়ার অত্যাবশ্যকীয়তা রয়েছে’।
তাই সে পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলে: ‘সেটা কী আমার দুর্বলতা নয়’?
image
এ ভাবেই ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসের শেষ নাগাদ স্বাধীনতা আন্দোলনে সহযাত্রী হলো মনুর সঙ্গে তার নাতী কানু গান্ধীর ১৮ বছরের স্ত্রী আভা এবং তারা উভয়েই গান্ধীর সঙ্গে ঘুমাতে থাকলো। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে যখন গান্ধী নিহত হলো, তখন এই মনু ও আভাই তার পাশে ছিলো। পরে গান্ধীর পুত্র, দেবদাস যখন মনুকে দিল্লি স্টেশনে পৌঁছে দেয়, সে সময় মনুকে এ সম্পর্কিত বিষয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করে। অথচ সত্তরের দশকে গান্ধীর ব্রাহ্মজীবন নিয়ে সুশীলা মুখ খুললে জানা গেল: ‘লোকে যখন মনু, আভা ও আমার শয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, সেটা প্রকৃতই কোনো ব্রাহ্মচর্চা ছিল না’।
এতে প্রতীয়মান হয় যে, গান্ধী যেভাবে বাঁচার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, সেটাই বাস্তবতা পেয়েছে। আর যখন এ সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, তখন নিজের ইচ্ছার প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্রহ্মান্ডের (কসমিক সিস্টেম) পদ্ধতিগত পুরস্কারের কথা বলেছে। প্রত্যেক মহাপুরুষের মতো গান্ধীও তার পথচলায় অনুশাসন প্রবর্তন করে। বইটির লেখক জ্যাড এডামস তার এ নিবন্ধের সমাপ্তি টেনেছে এই বলে যে, গান্ধীর মৃত্যুর সুদীর্ঘ সময় পর্যন্ত তার যৌন বিষয়ক আচরণগুলো উপেক্ষিতই ছিল। তবে এখন সময়ের অবগাহনে গান্ধীর মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা অর্জনের পেছনে তার নিজস্ব যৌনলিপ্সার প্রেক্ষাপটকে একটি ফ্রেমে আবদ্ধ করা গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ভারতের স্বাধীনতাকালীন গান্ধী অপরাপর রাজনীতিকদের উত্থানে পার্শ্বচরিত্রে পর্যবসিত হয়। তার রতি সংরক্ষণ ভারতকে অখন্ড রাখতে পারেনি, বরং দেশটির স্বাধীনতা কংগ্রেস পার্টির নেতৃস্থানীয়রাই আপোস-রফায় বিভক্ত করে।